শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
মহদীপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন বিএনপি নেতা আজাদুল ইসলাম কালিগঞ্জে ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক যশোরে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা -খুলনা ট্রেন চলাচল শুরু ২ ডিসেম্বর সিনেমা করব না এটা কখনোই বলিনি: কেয়া পায়েল আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল আ. লীগের রাজনীতি করার বিষয়ে যে মন্তব্য করলেন নাহিদ ইসলাম যুক্তরাজ্যে ঢুকলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু

ময়মনসিংহে এন টিভির ক্যামেরা পার্সন মোঃ মাসুদ রানার নামে প্রতারণার মামলা

ময়মনসিংহ  প্রতিনিধিঃ

মামলা ময়মনসিংহে এনটিভির ক্যামেরা পার্সন মাসুদ রানার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন এক ব্যবসায়ী।ব্যবসায়ীর নাম মোঃ রেজাউল করিম। গত ১ লা ডিসেম্বর দুপুরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে মামলাটি করেন রেজাউল করিম নামে এক ব্যবসায়ী। মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মাসুদ রানা ও রেজাউল করিম ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে ২০২১ সালে তারখান লাইফ স্টোর নামে একটি শো-রুমের ব্যবসা শুরু করেন। যার চেয়ারম্যান হিসেবে মাসুদ রানা ও এমডি হিসেবে রেজাউল করিম দায়িত্ব পালন করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি পরিচিত লাভ করার পাশাপাশি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করে। ব্যবসায়িক উন্নতি হওয়ায় মাসুদ একাই ব্যবসা পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে রেজাউল করিমকে ব্যবসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় রেজাউল করিমকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করতে থাকে মাসুদ রানা। বহিরাগত লোক হওয়ার কারণে একপর্যায়ে রেজাউল করিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ তার দুই জন সহকর্মী বেলাল হোসেন প্রান্ত মোঃ কামাল হোসেন সোহাগ মাহমুদ এদের তিনজনের মাধ্যমেই মূল আলোচনাটা সম্পূর্ণ হয় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত মধ্যস্থতায় অশদারিত্ব বিক্রির আরেকটি চুক্তি সম্প্রদান করা হয়।রেজাউল করিমের ব্যবসায়ীক মূলধন হিসেবে দেওয়া ২২ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা এককালীন পরিশোধ করতে বললে ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন মাসুদ। বাকী ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা পরিশোধ করতে তারিখ ধার্য করেন। রেজাউল করিমের অংশীদার হিসেবে পাওনাকৃত টাকা পরিশোধ না করায় বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে চুক্তি সম্প্রদান করার সময়।শর্তগুলোর মধ্যে,পাওনা কৃত ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখে পরিশোধ করার তারিখ নির্ধারিত হয়। এবং প্রতিদিন ব্যবসার লাভ হিসেবে ৫০০ টাকা করে রেজাউল দিতে হবে। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যবসায়িক লাভ হিসেবে ৫০০ টাকা পরিশোধ করেননি মাসুদ। বার বার সময় ক্ষেপণ করে গেছেন। আজ না কাল দিব বলতে বলতে নির্ধারিত সময় চলে আসে টাকা পরিশোধের। এমতাবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর তারখান লাইফ স্টোর শো-রুমে যান পাওনা টাকা আদায়ের জন্য। তবে টাকা না দিয়ে উল্টো অস্বীকার করেন মাসুদ রানা। টাকা দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। এসময় প্রাণভয়ে চলে আসার সময় তার ব্যক্তিগত অর্থে ক্রয়কৃত এমডি টেবিল, চেয়ার,বেশকিছু জিনিস নিয়ে আসতে চাইলে রেজাউল করিমকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন মাসুদ রানা । ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত মূলধন ফেরত না পাওয়ায় অবশেষে বিজ্ঞ আদালতের দ্বারস্থ হন রেজাউল করিম। অভিযোগ দায়ের করেন মাসুদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে রেজাউল করিম জানান, আমি ও মাসুদ রানা একসাথে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু মাসুদ আমার সাথে প্রতারণা করে। ব্যবসায় আমার বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে বার বার প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। আমি নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়িক মুলধন ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও আমার নিজস্ব অর্থে ক্রয়কৃত জিনিসপত্র ফেরত পেতে এবং আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি। আমি বিশ্বাস করি বিজ্ঞ আদালত ন্যায় বিচার করবেন।

খবরটি শেয়ার করুন